শনিবার, ৩০ এপ্রিল
কাহারোল উপজেলার পৃথীরাজ, গত ২২ এপ্রিল জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন, তিনি পেষায় ছিলেন কাঠ মিস্ত্রি। কাহারোল উপজেলার ০৩নং মুকুন্দপুর ইনিয়নের বাসিন্দা, ০১নং ওয়ার্ডের নিজিয়া গ্রামের কুমার পাড়ায় তার বাসা।
কাহারোল বাজারের একটি কাঠের দোকানে পৃথীরাজ দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন, সকালে রান্নার কাজ শেষ করে দোকানে কাজ করতো, দিনশেষে মালিক পক্ষ হতে যা রোজগারের টাকা নিয়ে পরের দিনের বাজার খরছ করে বাসায় রওনা দিতো পৃথীরাজ। এমন করে বেশ ভালোই দিন কাঠছিলো, এক সময় সংসার জীবনের কথা আর বাবার কষ্ঠ দেখে পৃথীরাজ বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়।
ছবি: ইন্টারনেট |
পৃথীরাজ নিজের পায়ে দাড়িয়ে নিজের প্রতিষ্ঠান কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তারই মাঝে কনে দেখার খোঁজ শুরু করেন। উপজেলার পাশে বিরল পৃথীরাজের বিয়ে ঠিক হলে, গত তারিখে ২২ এপ্রিল বিবাহ আয়োজন করা হয়। ধর্মীয় সংস্কার এর মাধ্যমে বিবাহ সম্পন্ন হয়। পরর্বতীতে বিবাহ শাস্ত্র মতে আঠোরা (নতুন জামাই আর বউ) মেয়ের বাবার বাসায় নিয়ে আসা হয়।
ছবি: ইন্টারনেট |
বিবাহ ২২ এপ্রিল হতে ২৯ পর দিন পর্যন্ত পৃথীরাজ তার শশুর বাড়িতে যাপন করলে অসুস্থতা দেখা দেয়, চিকিৎসার জন্য শশুর বাড়ির লোকজন পৃথীরাজ কে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও হসপিতাল নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা প্রদানের সময় তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে কতৃপক্ষ। পরবর্তীতে পৃথীরাজের নিজের পরিবারের লোকজন তাকে নিজের বাসায় নিয়ে মৃতদেহ সৎকার সম্পন্ন করেন রামচন্দ্রপুর মহাশশ্মান ঘাটে।
স্থানীয় প্রতিনিধি, কাহারোল